Skip to main content

বিদ্যুৎ শক্তি ঝড়ের সময় কেন অচল হয়ে যায়?

 সঠিক তথ্য যেনে নিন?



আর সবার মতো একসময় আমারও ধারণা ছিলো, ঝড়ে বিদ্যুৎ এর তার ছিড়ে গেলে যদি বিদ্যুৎ বন্ধ না করা হয় তাহলে ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটতে পারে, এই জন্য সতর্কতা অবলম্বন করে বিদ্যুৎ এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়?

ভুল, ভুল ধারণা।

আবার অনেক সময় দেখা যায়, এই বিদ্যুৎ যাচ্ছে, এই আসছে। মিনিটে কয়েকবার আসে যায়। আমরা বিরক্ত হই। একটা তামাশা শুরু করেছে নাকি।

আপনি ভাবছেন এটা ইচ্ছা করে কেউ করছে? শতভাগ ভুল কিছু ভাবছেন তাহলে।

তাহলে ব্যাপার টা কি?

আসুন একটু মেকানিজম খুব সহজ করে বুঝে নিই।

বিদ্যুৎ যে যায়গা থেকে বিতরন করা হয়, এটাকে উপকেন্দ্র (সাব স্টেশন) বলে। এই উপকেন্দ্রের ভিতর একটা খুব বড়সড় রুমে আলমারির মতো বড়সড় যন্ত্র টাইপের কিছু থাকে। এগুলো কে ফিডার বলে। এক একটা ফিডার এক একটা এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণের কাজ করে। এই ফিডার অফ, মানে ঐ এলাকায় বিদ্যুৎ অফ।

এখন আসুন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণ খুজি।

আপনার বাসায় বিদ্যুৎ যে কারণে চলে যায়, আমরা সে কারণগুলো কে ফল্ট বলি।

আমাদের এখানে বা বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে কি কি ফল্ট হলে আপনার বাসায় বিদ্যুৎ চলে যায়?

অনেক কারণ হতে পারে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ

১) বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে দেখবেন ৩ টা তার থাকে, এগুলো কে আমরা ফেইজ বলি। A, B, C ফেইজ। বাতাসের কারণে যদি এই ৩ টা ফেইজ কোন কারণে এক সাথে লেগে যায়, তাহলে আমাদের উপকেন্দ্রের ফিডার (মানে আপনার বাড়িতে বিদ্যুৎ যাওয়ার সুই) ফল্ট করে।

২) ঝড়ে বা বাতাসে গাছ ভেঙে ফেইজের উপর পড়লে বা একবার বাড়ি খেলেও ওখানের ফিডার ফল্ট করে।

৩) ট্রান্সফরমার এ সমস্যা হলেও ফল্ট করে।

৪) কোন মানুষের হাতের স্পর্শ পেলেও ফল্ট করে

এখন আসুন জেনে নিই ফল্ট করলে কি হয়। ফল্ট করার মানেই স্বয়ংক্রিয় বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের হাতে কোন শক্তি ই নেই বিদ্যুৎ চলে যাওয়া ঠেকানোর । মনে করেন ২০ কিমি দূরে গাছের ঢাল বাতাসে বাড়ি মারছে, স্বয়ংক্রিয় বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যাবে।

ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে তার ছিড়ে গেছে? মিলি সেকেন্ড এ বিদ্যুৎ লাইন অফ হয়ে যাবে। তার না লাগানো পর্যন্ত আমরা ইচ্ছা করলেও লাইন চালু হবে না। কোনভাবেই না।

তাহলে মিনিটে কয়েকবার বিদ্যুৎ আসে যায় কেন?

বাতাসে বাড়ি মারে, অফ হয়ে যায়, আমরা চালু করি, আবার বাড়ি মারে, অফ হয়। এই জন্য ই তারের আশেপাশে থাকা গাছের ডাল নির্দয় ভাবে কেটে ফেলা হয়।

কারণ ডালের সংস্পর্শে আসলে কোনভাবেই বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখা যাবে না।

আর একটা কথা, এটা আমাদের বাসার সুইচ না যে আমাদের ইচ্ছায় বন্ধ করবো বা চালু করবো।

উপকেন্দ্রে যিনি থাকেন, তিনি কখনোই নিজের ইচ্ছায় বন্ধ করতে পারেন না, চালু করতেও পারেন না। যে সকল ফল্ট বললাম, এইগুলো হলে স্বয়ংক্রিয় বন্ধ হয়ে যায়, আর যদি ফল্ট না হয়, তাহলে মেরামতের কাজ বা নতুন লাইনের সংযোগ এর জন্য কমপক্ষে ২য় শ্রেণীর অফিসার এর নির্দেশে বন্ধ হয়। কোথাও আগুন লাগলে বন্ধ হয়।

গ্রামে অনেক সময় ২/৩ দিন বিদ্যুৎ থাকে না কেন?

গ্রামের লাইন এতো সরু দিয়ে যায় যে, অনেক সময় খুঁজেই পাওয়া যায় না ফল্ট কোথায়।

অফিসার তার দল নিয়ে সারা এলাকা তন্নতন্ন করে খুজে বেড়ায়। তবুও খুজে পায় না।

তখন এমন হয়। মোটকথা ইচ্ছা করে বন্ধ হয় না।

লোড শেডিং কেন হয়?

হ্যা,একমাত্র লোড শেডিং এর জন্য ইচ্ছা করে লাইন বন্ধ করা হয়। এটাও হয় একমাত্র প্রথম শ্রেণীর বা তার উপরের অফিসার এর নির্দেশে। এটাও ইচ্ছা করে করা হয় না। যখন লোড অনেক বেশী হয়ে যায়, Power Transformer লোড নিতে পারে না, তখনই কেবল কোন একটা ফিডার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Comments

Popular posts from this blog

ইংরেজিতে কখন(The=দি) আর কখন (The=দ্যা) উচ্চারণ করবো?

ইংরেজি " The " একটি Article। কোন ব্যক্তি, বস্তু ও শ্রেনী বা জাতির পুর্বে The ব্যবহৃত হয়। সাধারণত noun এর আগেই The ব্যবহৃত হয়, তবে মাঝে মাঝে Adjective এর আগেও The ব্যবহৃত হয়। এখন আসি মূল প্রশ্নে। যখন কোন word/noun/(adjective-জাতী বুঝাতে) Vowel (a, e, I, o, u) দ্বারা শুরু হয় তখন The ব্যবহৃত হলে এর উচ্চারণ "দি" হয়। যেমন: The ant, The apple ইত্যাদি। আবার যখন noun ও জাতী বুঝাতে adjective word টি Consonant দিয়ে শুরু হয় তখন The ব্যবহৃত হলে " দ্যা " উচ্চারণ হবে। যেমন: The mango, The boy, The poor। Consonant হচ্ছে, ইংরেজি ২৬ টি letter এর Vowel ছাড়া বাকি letter গুলো। তবে The এর উচ্চারণ আরো কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন: কোন word/শব্দ Consonant দিয়ে শুরু হলেও যদি এর উচ্চারণ Vowel দিয়ে শুরু হয় তাহলে The এর উচ্চারণ দি হবে। যেমন: The (দি) hour. The MLA. The MA. আবার, শব্দের শুরুতে Vowel থাকা সত্ত্বেও তার উচ্চারণ ইউ বা ওয়া হলে The এর উচ্চারণ দ্যা হবে। যেমন: The (দ্যা) union. The European. The university. আবার, যখন কাউকে বা কিছুকে জোর দিয়ে নির্দিষ্ট করে ব...

পেটে চর্বি কমানোর উপায়?

 স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে পেটের মেদ কমানোর সহজ ও ঘরোয়া কিছু উপায় সম্পর্কে জানান হল। গরম পানিতে লেবু সকালে এক কাপ ঘন কফি বা চা মন মেজাজ ভালো করে দেয় ঠিকই। কিন্তু যদি ওজন কমাতে চান তাহলে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম পানিতে লেবুর রস পান করুন। লেবু ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা হজমে সাহায্য করে ও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটা দ্রুত চর্বি কমাতে সহায়তা করে। গরম পানিতে লেবু খাওয়া বেশি কষ্টকর মনে হলে এতে এক চামচ মধু যোগ করতে পারেন। প্রতিদিন জিরা পানি পান সকালে পানীয় হিসেবে জিরা পানি পান করুন। এটা হজমে সহায়তা করে, পেট ফোলাভাব কমায় ও পেটের মেদ কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। প্রোটিন সমৃদ্ধ নাস্তা শরীরে শক্তি যোগাতে প্রোটিন ভূমিকা রাখে। নাস্তায় প্রোটিন খাওয়া পেশি গঠনের পাশাপাশি সারাদিন পেট ভরা অনুভূত হতে সহায়তা করে। ফলে বাড়তি ক্যালরি গ্রহণের ঝুঁকি কমে। প্রোটিন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও দেহে চর্বি সঞ্চয়কারী ইন্সুলিনের মাত্রা কমায়। শস্য-জাতীয় খাবার শস্য-জাতীয় খাবার আঁশ সমৃদ্...

বাংলাদেশের ১০জন ধনী ব্যাক্তির তালিকা ২০২২

অনলাইনের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের  সব থেকে ধনীর তালিকায় রয়েছে  মুসা বিন শমসের। বাংলাদেশের শীর্ষ ১০জন ধনী ব্যাক্তির তালিকা ২০২২ ১.মুসা বিন শমসের ২.তারেক রহমান ৩ সালমান এফ রহমান ৪সজীব ওয়াজের ৫.সৈয়দ আবুল হোসেন ৬.আহমেদ আকবর  সোবহান ৭.গিয়াউদ্দিন আল মামুন ৮.মহিউদ্দিন খান আলমগীর  ৯.রাগীব আলী  ১০.ইকবাল আহমেদ  তথ্যসূএেঃঅনলাইন